36 antibiotics ineffective in the country 26 thousand
36 Antibiotics Ineffective
দেশে ৩৬টি অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর ২৬ হাজার :-
একটি স্বাস্থ্য সংকটের সাথে ঝাঁপিয়ে পড়া একটি জাতিতে, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের কঠোর বাস্তবতা একটি ভয়ঙ্কর শত্রু হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, একটি বিস্ময়কর 36 টি অ্যান্টিবায়োটিককে সাধারণ সংক্রমণের বিরুদ্ধে অকার্যকর করে তুলেছে। এই উদ্বেগজনক প্রবণতা একটি ভয়াবহ পরিণতি ডেকে এনেছে: এক বছরের ব্যবধানে 26 হাজার প্রাণ হারিয়েছে।একসময় চিকিৎসা বিস্ময় হিসাবে স্বীকৃত, অ্যান্টিবায়োটিকগুলি এখন তাদের নিজস্ব সাফল্যের শিকার হয়ে উঠেছে, কারণ ব্যাপক অপব্যবহার এবং অত্যধিক ব্যবহার ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধী স্ট্রেনের উত্থানকে উস্কে দিয়েছে। এই বিপর্যস্ত জাতিতে, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের পরিণতিগুলি একটি জটিল সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছে, একসময় কার্যকর ওষুধের আধিক্য এখন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে পুরুষত্বহীন হয়ে পড়েছে।
এই সংকটের প্রভাব বহুগুণে ছড়িয়ে পড়েছে, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলিতে, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা নিজেদেরকে সীমিত চিকিত্সার বিকল্পগুলির সাথে লড়াই করতে দেখেন, কারণ একবার সহজেই নির্মূল করা সংক্রমণগুলি আক্রমনাত্মক হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও টিকে থাকে। একসময় অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপির কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া রোগীরা এখন দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা এবং বর্ধিত মৃত্যুর হারের মুখোমুখি, কারণ একবার চিকিত্সাযোগ্য সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার সীমানা ছাড়িয়ে, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের লহরী প্রভাব সমগ্র সম্প্রদায় জুড়ে প্রতিধ্বনিত হয়। কৃষিতে, প্রাণিসম্পদে অ্যান্টিবায়োটিকের অত্যধিক ব্যবহার প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার বিস্তারকে বাড়িয়ে তুলেছে, যা খাদ্য নিরাপত্তা এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রদায়গুলিতে, প্রতিরোধী সংক্রমণের বিস্তার সামাজিক কাঠামোকে চাপ দেয়, পরিবারের উপর অকথ্য বোঝা চাপিয়ে দেয় এবং ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত বোঝা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে চাপ দেয়।
এই ভয়ঙ্কর মূকনাটকের মধ্যে, জরুরী পদক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয়তা কখনই পরিষ্কার ছিল না। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের মোকাবিলা করার প্রচেষ্টা অবশ্যই বহুমুখী এবং ব্যাপক হতে হবে, স্বাস্থ্যসেবা এবং জনস্বাস্থ্য উভয় ক্ষেত্রেই বিস্তৃত। প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার নিরীক্ষণ করতে এবং প্রতিরোধের উদীয়মান হটস্পট চিহ্নিত করার জন্য শক্তিশালী নজরদারি ব্যবস্থা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার প্রচারের জন্য শিক্ষা প্রচারাভিযান চালু করতে হবে, দায়িত্বশীল স্টুয়ার্ডশিপের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
তদ্ব্যতীত, গবেষণা এবং উন্নয়নে বিনিয়োগ অভিনব অ্যান্টিবায়োটিক এবং বিকল্প চিকিত্সা পদ্ধতির বিকাশের জন্য সর্বোত্তম। ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন্য অবশ্যই প্রণোদনা প্রদান করতে হবে, প্রতিরোধী প্যাথোজেনগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম নতুন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এজেন্টদের অনুসরণকে উৎসাহিত করতে হবে। উপরন্তু, কৃষিতে অ্যান্টিবায়োটিকের বিচক্ষণ ব্যবহারকে উন্নীত করার কৌশলগুলি অবশ্যই বাস্তবায়িত করতে হবে, যা খামার থেকে কাঁটা পর্যন্ত প্রতিরোধের বিস্তারকে হ্রাস করবে।
সর্বোপরি, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য একটি সমন্বিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টার দাবি, জাতীয় সীমানা এবং রাজনৈতিক বিভাজন অতিক্রম করে। এই ক্রমবর্ধমান হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডেটা, সংস্থান এবং দক্ষতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতামূলক উদ্যোগগুলি তৈরি করতে হবে। শুধুমাত্র সম্মিলিত পদক্ষেপের মাধ্যমেই আমরা আশা করতে পারি অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের জোয়ার রোধ করতে এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য ও মঙ্গল রক্ষা করতে।
ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের মুখে, পদক্ষেপের সময় এখন। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বর্ণালী বিশাল আকার ধারণ করে, আধুনিক চিকিৎসার ভবিষ্যৎকে ছায়া ফেলে। তবুও, সংকল্প এবং দৃঢ় সংকল্পের সাথে, আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উঠতে পারি, এমন একটি বিশ্বের দিকে একটি পথ তৈরি করতে যেখানে অ্যান্টিবায়োটিকগুলি একটি বিগত যুগের ধ্বংসাবশেষের পরিবর্তে চিকিৎসা অনুশীলনের মূল ভিত্তি হয়ে থাকে।
রস খাওয়া drink juice சாறு குடிக்க रस पीजिए Golpo 2024
रस पीजिए 🌴
🌴 சாறு குடிக்க
Drink Juice 🌴
Bere il Succo 🌴
এক বিকেলে রঙের খেলা | रंग खेलने की एक दोपहर Bangla and Hindi Golpo
এক বিকেলে রঙের খেলা
रंग खेलने की एक दोपहर
আকাশ ভেঙে পড়া | The sky is falling bangla Golpo 2024
আকাশ ভেঙে পড়া
আজ আমরা আকাশ ভেঙ্গে পড়ার গল্প শুনবো :-
🌈 The sky is Falling
Today we will listen to the story of the sky collapsing:-
শিকারি বকু মামা | Shikari Baku Mama Bangla Golpo
গেলবার বাবার সাথে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলাম। গাছগাছালির ছায়ায় ঢাকা শান্ত গ্রাম। নিরিবিলি পরিবেশ। মজাই আলাদা। একদিন বাবার সাথে হাটে গেলাম। হাট থেকে ফিরে বাড়ির দরজায় ঢুকতেই ভেতরে বেশ হৈ চৈ শুনতে পাচ্ছিলাম। কী ব্যাপার। বাড়ি থেকে বের হবার সময় তো এমন ছিল না। তবে কি নতুন কেউ এল নাকি? দরজা খুলেই মা বললেন, 'দেখ টিপু, কে এসেছে। বললাম, 'কে?' 'তোর ছোট মামা।' বসার ঘরে যেতেই মামা তো হৈ হৈ করে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। বললেন, 'বেশ লম্বা হয়েছিস তো রে। বস বস। মামাকে বললাম, 'তোমার মতো এখনও হইনি। মা আজ ভীষণ খুশি। খুশি বাবা আর আমরাও। সেই কবে মামাকে দেখেছি। মামা অনেকদিন পরে এলেন।
গ্রামের বাড়ির টাটকা সবজি, ফুলজোড় নদীর মাছ এসব দিয়ে খাবার আয়োজন। খাওয়ার সময় মা জিজ্ঞেস করলেন, 'বকু, থাকছিস তো কদিন?' সবার মন খারাপ করে দিয়ে মামা বললেন, 'না, ছোট আপা, থাকার সময় নেই। মা রেগে বললেন, 'কী এমন কাজ শুনি, সব সময় ঘুরে বেড়াস।' মামা বললেন, 'তুমি বুঝতে পারছ না, ছোট আপা। আমাকে যেতেই হবে। চিতাই গ্রামের চেয়ারম্যান নিজে লোক পাঠিয়েছেন। মামার যাবার আয়োজন শেষ। মা মামাকে জিজ্ঞেস করেন, 'চিতাই গ্রামে তোর কী কাজ?' মামা বললেন, 'শোন, আপা, ওই গ্রামে একটা বাঘ এসেছে। শুনেছি বাঘটি ভয়ংকর। দু'তিনটে গরু সাবাড় করে দিয়ে এখন মানুষ ধরার মতলবে আছে। তার আগেই ওকে থামাতে হবে।
গ্রামের সবাই অবশ্য চেষ্টা করছে। তবে, শেষ পর্যন্ত বকুল চৌধুরী ওরফে এই বকু শিকারিরই ডাক পড়েছে। ভাবছি, এই কাজে ভাগনে পুটুকেও সাথে নেব। মা বললেন, 'দ্যাখ, বকু, এগুলো আমার ভালো লাগে না। তুই পুটুকে নেবার কথা বলছিস কেন?' আপা, ভয় পেয়ো না। আমি ভাগনেকে সাহসী করে গড়ে তুলতে চাই। কিরে পুটু, রাজি তো?' আমি তো এক কথায় রাজি।পরদিনই দু'জন রওনা হলাম। মা বললেন, 'দেখিস ভাই, ছেলেটাকে নিয়ে যাচ্ছিস।' মামা বললেন, 'আপা, তোমার ওই এক দোষ। ও তোমার ছেলে, আমারও তো ভাগনে। চিতাই গ্রামে পৌঁছলাম তিনটে নাগাদ। বাইরে একটু শীতের আমেজ। চেয়ারম্যানের বিরাট বাড়ি।
দেখলাম বকু শিকারিকে দেখার জন্য অনেক লোক জমায়েত হয়েছে। মামা আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন, 'আমার ভাগনে পুটু। আমার অ্যাসিস্টেন্ট। মামার এরকম অ্যাসিস্টেন্ট দেখে কেউ কেউ বোধ হয় হতাশ হল। মামা কিন্তু এগুলো নিয়ে কিছু মনে করলেন না। ঘাড় থেকে ব্যাগ নামিয়ে বললেন, চেয়ারম্যান সাহেব, শিকারের জায়গাটা এক্ষুণি দেখতে চাই। চেয়ারম্যান বললেন, 'সে কি স্যার, এত পরিশ্রম করে এলেন; আগে একটু বিশ্রাম নিন। তারপর সব কথা।'মামা না না বলতেই আমি থামিয়ে দিয়ে বললাম, 'আজ থাক, মামা।' ক্ষুধায় আমার পেট তখন চোঁ চোঁ করছিল।
খেতে বসলাম। দেখলাম আয়োজনের কমতি নেই। আমাদের সাথে আরো দু'তিন জন খেতে বসেছিল। বেঁটে ধরনের প্রায় মামার বয়সী একজন বললেন, 'তা, বাঘ মারার অভিজ্ঞতা স্যারের কেমন?' মামা বেশ গম্ভীর হয়ে বললেন, 'তা কি সবাইকে বলতে হবে?' মামার জবাব শুনে লোকটা একটু অপমানিত হল। হেসে বলল, 'না না, এমনিতেই বললাম।' আমার মনে হচ্ছিল কেন যেন মামাকে শিকারি হিসাবে ওর পছন্দ হচ্ছিল না। চেয়ারম্যান সাহেব লোকটাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বললেন, 'ওর নাম গুপী, আমার এখানেই থাকে। বনে-বাদাড়ে ঘোরে, খুব সাহসী। আর হ্যাঁ, ও অনেক পশুপাখির ডাক নকল করতে পারে। পরদিন বেলা দু'টো। আমি, মামা, চেয়ারম্যান সাহেবের বাড়ির দু'জন লোকসহ বসে বাঘ মারার পরিকল্পনা করলাম। মনে হচ্ছে যেন বড়সড় এক যুদ্ধে যাচ্ছি।
বনের মধ্যে দু'টো গাছের মাঝখানে শত্রু কাঠের খাঁচা, ওপরে কপিকল। ঠিক তারই নিচে টোপ হিসাবে ছাগল বাঁধা থাকবে। যেই বাঘ ছাগল ধরতে আসবে, অমনি খাঁচাটি কপিকলের সাহায্যে নিচে ছেড়ে দেয়া হবে। যদি বাঘ বাড়াবাড়ি করে তবে গুলি করা হবে। গুলি করবে চেয়ারম্যান বাড়ির ওই দু'জনের একজন। রকিব, আমরা সবাই বসব খাঁচার একটু দূরে। দশ ফুট উঁচু মাচায়। চেয়ারম্যান সাহেব বললেন, 'আপনার কথামতো সব প্রস্তুত আছে।' চেয়ারম্যানের দুই লোক রকিব ও পানু রওনা দিল শিকারের জায়গায়। টোপ হিসেবে যে ছাগলটি ওরা নিয়ে যাচ্ছিল তা খুবই দুর্বল। মনে হল, বাঘের ডাক শুনলেই ওটা জ্ঞান হারাবে।আমি আর মামা সন্ধ্যার দিকে রওনা দিলাম। কারণ বাঘ নাকি গ্রামের পশ্চিম দিকের নদী পেরিয়ে সন্ধ্যার পরই গাঁয়ে হানা দেয়।
মামা বললেন, 'বাঘ নদী পার হবার আগেই আমরা মাচায় উঠব। তাড়াতাড়ি চল।'গ্রামের শেষ মাথায় এসে পড়েছি। চারপাশে জঙ্গল। মামা আগে, আমি পিছে। মামার কাঁধে ঝোলা। তার মধ্যে কিছু শুকনো খাবার। কারণ বাঘ সন্ধ্যা সাতটায়ও আসতে পারে আবার রাত তিনটেয়ও আসতে পারে। কিছু খেতে তো হবে। এমন সময় হঠাৎ জঞ্জালের ভেতর থেকে বাঘের ডাক। যেন এখনি ঘাড়ে লাফিয়ে পড়বে। মামা বললেন, 'পুট, দে ছুট।' দু'জনে মিলে দিলাম ছুট। কোনোদিক না দেখে সামনে একটা ঘরে ঢুকে পড়লাম। ঘরে ঢুকে দেখি, কটা ছাগল আর একটা গরু বাঁধা। বুকটা তখনও ধক ধক করছিল। কোনো রকমে বসেছি, আবার সেই ডাক।মনে হল এরপর বোধ হয় এই গোয়াল ঘরেই ঢুকবে। মামা ঘরের দরজা আঁটতে গিয়ে গোবরে পা পিছলে ধপাস করে পড়ে গেলেন। ওইভাবে শুয়ে পড়ে দরজা এঁটে ধরলেন।
বললেন, 'তাড়াতাড়ি হুড়কো লাগা।' আমি অন্ধকারে হাতড়ে গিয়ে মামার পিঠের ওপর পড়ে গেলাম। মামা নিচে আমি মামার পিঠে। মামার বুকের নিচে গোবর। ওভাবে দরজা এঁটে থাকলাম। চুপচাপ পড়ে আছি। একটু পরেই শুনি মামার নাক ডাকার আওয়াজ। আমিও ঘুমিয়ে পড়লাম। কতক্ষণ ঘুমিয়েছি জানি না। গরুর হাম্মা রবে ঘুম ভেঙে দেখি, ভোর হয়ে গেছে। মামাকে ডাকলাম। মামা উঠলেন, কিন্তু সারা গায়ে গোবর। আমারও কিছু লেগেছে।রাস্তার পাশের পুকুরে গা ধুয়ে চেয়ারম্যানবাড়ি ঢুকলাম। আমাদের দেখে বাড়ির এক ভদ্রমহিলা এগিয়ে এসে বললেন, 'আপনারা বিশ্রাম নিন। আমি নাস্তা আনছি। চেয়ারম্যান সাহেব থানায় গেছেন। বাঘ খাঁচায় আটকা পড়েছে তাই জানাতে। 'মামা, বাঘ আটকা পড়েছে?' জিজ্ঞেস করতেই মহিলা বললেন, 'কেন, আপনারা ছিলেন না।
আমি বললাম, 'হ্যাঁ হ্যাঁ, ঠিক আছে, আপনি বলুন। ভদ্রমহিলা বললেন, 'রাত বারোটার দিকে যেই বাঘ এসে ছাগলটা ধরতে যায়, অমনি পানু খাঁচা ফেলে দেয়। বাঘ আটকা পড়ে। বাঘের লাফালাফির চোটে ছাগলটা খাঁচার ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে গেছে। ওটাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। কেন, আপনারা জানেন না?' মামা বললেন, 'আমাদের আর সময় নেই। আমরা চললাম। 'সে কি! সবাই আসুক। তারপর না হয় যাবেন। কে শোনে কার কথা! ঝটপট ব্যাগ গুছিয়ে বড় রাস্তার দিকে হাঁটা দিলাম। তাড়াতাড়ি বাস ধরে বাড়ি ফিরব। বাসে উঠে মামাকে বললাম, 'ঘটনাটা কেমন যেন গোলমেলে মনে হচ্ছে।
বাঘ আসল রাত বারোটায়। তাহলে আমরা কিসের ডাকে ভয় পেলাম। এগুলো ঐ গুপী ব্যাটার কান্ড না তো!' মামা বললেন, 'ঠিক তাই। ওই আমাদের বাঘের ডাক নকল করে ভয় দেখিয়েছে। মামাকে বললাম, 'ক'দিন আমাদের বাড়িতে থেকে যাও।' দীর্ঘশ্বাস ফেলে মামা বললেন, 'তাই করবো ভাবছি, এসব শিকার টিকার আর ভালো লাগে না।
পাতা কুমার | Pata Kumar Bangla Golpo
পাতা কুমার
পাহাড় পুর | Pahar Pur Bangla Golpo
পাহাড় পুর
দৈত্য প্রজাপতির গল্প | The Story Of monster butterfly 2024
দৈত্য প্রজাপতি
ফেন্টু মামা আর আমি। যাচ্ছিলাম সিলেট। বেড়াতে। সিলেট জেলায় ঢুকতেই রাত্রি হল। অন্ধকার রাত। দুপাশে ছোটবড় পাহাড়। আবছা দেখা যাচ্ছে।তার মধ্য দিয়ে রেলগাড়ি ছুটে চলেছে। এমন সময় রেলগাড়িটা হঠাৎ থেমে গেল। বেশ কিছু সময় পেরিয়ে গেল, গাড়ি আর চলে না।সবারই এক কথা, চলছে না কেন? ফেন্টু মামা বললেন, 'এর আগে তিনবার থেমেছে। কিন্তু এবারের মতো এত দেরি তো করেনি।' জানালা দিয়ে সবাই সামনে দেখার চেষ্টা করছে। কিছুই বোঝা গেল না। ফেন্টু মামা আমাকে বললেন, 'একটু দেখে আসি ব্যাপারটা কি।' বলামাত্রই বগির মাঝের রাস্তা দিয়ে মামা এগোতে লাগলেন। অনেকক্ষণ পরে তিনি ফিরলেন। ইঞ্জিন ঘরের লোকজনের সাথে মামার কথা হয়েছে। একটা বিরাট দৈত্য নাকি বারবার রেলগাড়ি থামাতে বলছে। এতক্ষণ চালক ভয়ে ভয়েই রেলগাড়ি চালিয়েছে। বিপদ থাকায় এর আগে তিনবারই থামাতে হয়েছে। কিন্তু এবার মহাবিপদ।
রেল লাইনের দুপাশে দৈত্যের দু'পা, আর দু'হাত ওপরের দিকে। হাত নাড়ানো দেখলে মনে হয়, পাহাড় ভেঙে ফেলবে।আশ্চর্যের বিষয়, রেলগাড়ি চললে দু'হাত নেড়ে থামতে বলে, আবার থামলে চুপচাপ। ফেন্টুমামা এসে যখন বলছিলেন, তখন বগির সবাই ভয়ে একেবারে জড়োসড়ো। আমি কিন্তু একটুও ভয় পাইনি। বরং দৈত্যটাকে নিজের চোখে দেখতে ইচ্ছে করছিল।
মামার কানে ফিস্ফিস্ করে বললাম, 'মামা, তুমি নিজে দেখেছ?' মামা বললেন, 'নারে, বাপু, না।' মামাকে বললাম, 'চল না মামা, দৈত্যটা দেখে আসি।' আমার কথায় ফেন্টু মামা ভয়ে ভয়ে রাজি হলেন। আমাদের সাথে ওই বগির কয়েকজন যাত্রীও গেলেন। এক বগি থেকে আর এক বগি, এমনি করে একেবারে সামনের বগিতে গিয়ে সবাই থামলাম। রেলগাড়ি থেকে নামব, এমন সময় মামা হাত ধরে টেনে বললেন, 'সত্যিই দেখবি? না গেলে হয় না।' আমি বললাম, 'চলো তো, মামা।' মামা আবারও বললেন, 'বন্দুকটন্দুক কিছুই নেই।' আমি বললাম, 'বুদ্ধি তো আছে।' সবাই নামলেন। রেলগাড়ির সামনে যেতেই ফেন্টমামা চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা দৈত্যটাকে দেখে দিলেন এক ছুট।
মামা ও অন্য যাত্রীদের পড়িমড়ি দৌড় দেখে রেলগাড়ির একজন চালক এগিয়ে এলেন। আমাকে দেখে বললেন, 'কোথায় যাচ্ছ, খোকা?' বললাম, 'দৈত্য দেখতে।' তার নিষেধ শোনার আগেই আমি একেবারে গাড়ির সামনে চলে গেছি। গিয়ে দেখি রেলগাড়ির হেডলাইটে একটি প্রজাপতি বসে আছে।
প্রজাপতির ছায়াটাই দেখতে বিশাল দৈত্য মনে হচ্ছে। আমি এগিয়ে গিয়ে সেটি উড়িয়ে দিলাম। প্রজাপতি উড়ে যেতেই দৈত্যটি মিলিয়ে গেল। সবাই খুব খুশি। পারলে আমায় মাথায় নিয়ে নাচে। জিজ্ঞেস করল, 'আচ্ছা খোকা, তুমি বুঝলে কী করে?' বললাম, 'এতো খুব সহজ ব্যাপার। হেডলাইটের ওপরে কিছু পড়লে তার ছায়া দূরে গিয়ে বড় দেখায়। একথা তো আমরা বিজ্ঞান বই পড়েই জেনেছি।' যাত্রীরা যার যার সিটে গিয়ে বসলেন। সবাই চিন্তামুক্ত। রেলগাড়ি আবার চলতে শুরু করল।
পাথরের সাজা বাংলা গল্প | Patharer Shaja Bangla Story 2024
পাথরের সাজা
অনেক দিন আগের কথা। এক গ্রামে বিজু নামে এক বালক বাস- করত। তার খুব শখ শহর দেখতে যাবে। ইচ্ছে হলেই তো আর হয় না। সে সময় একালের মত রেলগাড়ি, ইস্টিমার, উড়োজাহাজ, মোটরগাড়ি কিছুই ছিল না। সে তার মা-বাবার কাছে শহর দেখার জন্য প্রতিদিন আবদার জানায়। অবশেষে অনেক চিন্তাভাবনার পর তাঁরা রাজি হলেন। বাবা তার হাতে ছোট্ট একটা থলে দিলেন।রেখো। শহরে চলাফেরা, থাকা খাওয়ার জন্য টাকাপয়সার খুব দরকার। " মা পথে ঘাটে খাওয়াদাওয়ার জন্য পুঁটলি বেঁধে খাবারদাবার দিয়ে বললেন, 'পথে খিদে লাগলে এগুলো খেয়ো। 'পরদিন খুব সকালে বিজু মা-বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে শহরের পথে রওনা দিল। বিজুদের গ্রাম থেকে শহর অনেক দূরের পথ। চলতে চলতে সকাল, দুপুর, বিকেল গড়িয়ে ঠিক সন্ধ্যেবেলায় বিজু শহরের ধারে পৌঁছে গেল। অবাক হয়ে সে দেখে আলোয় ঝলমল করছে সারা শহর। মনে মনে খুব খুশি। এত দিনের শহর দেখার স্বপ্ন তার পূরণ হতে চলেছে। শহর তো তার অপরিচিত। কাউকে চেনে না। শহরের কোথায় কী আছে তাও তার অজানা।
ভাবল, বরং এই সন্ধ্যায় অপরিচিত শহরে না ঢুকে এক গাছতলায়। কোনমতে রাতটা কাটিয়ে দেয়াই ভালো। মায়ের দেয়া খাবার খেয়ে গাছতলায় ঘুমানোর ব্যবস্থাও করে নিল। বাবার দেয়া টাকার থলেটা নিয়েই এখন যত বিপদ। বিদেশ-বিভুঁয়ে টাকা না হলে তো চলে না। যেখানে শোবার ব্যবস্থা হয়েছে তার ঠিক পাশেই বেশ বড়সড় একটা পাথরের খন্ড। বালকটি পাথরের নিচে টাকার থলেটা রেখে ঘুমিয়ে পড়ল।
আলোয় চারিদিক ভরে গেছে। পাখির কিচিরমিচির শব্দ। হাতমুখ ধুয়ে মায়ের দেয়া বাকি খাবারটুকু খেয়ে শহরে ঢোকার জন্য প্রস্তুত হয়ে নিল। যাবার সময় পাথরের নিচে থেকে টাকাগুলো নিতে গিয়ে দেখে থলে নেই। পাথরের আশেপাশে নিচে কোথাও খুঁজে টাকার থলেটা পাওয়া গেল না।
করবে? অসহায় বালক কোনো পথ না পেয়ে কাঁদতে লাগল। শহরের ধারের ওই দিক দিয়ে অনেক লোকের যাতায়াত। পথ দিয়ে যারাই যায় বিজুর কান্না দেখে দাঁড়ায়। কেউ সান্ত্বনা দেয়, কেউ বা টাকার থলেটা খোঁজাখুঁজি করে। পথিকদের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়।
চুরি হয়ে যাওয়া টাকাটা কোথাও পাওয়া গেল না।
ঠিক ওই সময় শহরের বিচারক তাঁর পাইকপেয়াদা নিয়ে ওই পথ দিয়েই যাচ্ছিলেন। অনেক মানুষের ভিড় আর কান্নারত বালককে দেখে তিনিও থামলেন। বালক ও উপস্থিত সকলের কাছ থেকে বিষয়টি জানলেন। বিচারক তাঁর পাইক-পেয়াদাদের হুকুম দিয়ে বললেন, 'এই চোর পাথরটাকে তুলে নিয়ে আমার আদালতের কাঠগড়ায় হাজির কর।' এ কথা বলে তিনি হনহন করে আদালতের দিকে পা বাড়ালেন।
তার আবার বিচার? এমন আজব বিচারের কথা কি কেউ কোনোদিন শুনেছে? সকলের মধ্যেই অসম্ভব কৌতূহল। এমন আজব বিচার দেখতেই হবে। একে একে সকলেই আদালতে গিয়ে উপস্থিত হল। বিশাল আদালত ঘর। ঘরে ঠাঁই নেই। কৌতূহলী শহরবাসীর ভিড়। বিচারক তাঁর আসনে গম্ভীর হয়ে বসে আছেন। কাঠগড়ার পাটাতনের ওপর পাথরটা। বিচার শুরু হল। কারো মুখে কোনো কথা নেই। আদালতঘর নীরব।
সামি পাথর হাজির!" বিচারক টেবিলে তিনবার হাতুড়ি পিটিয়ে বললেন, "অর্ডার, অর্ডার, অর্ডার। আসামি পাথর, নিরপরাধ বালকের টাকাপয়সা চুরি করেছে। সরেজমিনে দেখে মনে হয় পাথরই এ অর্থ চুরি করেছে। তাবে পাথর নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করার সুযোগ পাবে। এ সম্পর্কে তার কথা আদালত ধৈর্য সহকারে শুনে ন্যায্য বিচার করবে।'বিচারকের কথা শুনে আদালতে উপস্থিত সকলের মধ্যে হাসির রোল পড়ে গেল। বিচারক তার হাতুড়ি তিনবার পিটিয়ে আবার বললেন, "অর্ডার, অর্ডার, অর্ডার। সবাই চুপ করুন। এটি আদালত। বিচারের সময় হাসি-তামাশা করা অপরাধ। এ অপরাধের জন্য আদালত ইচ্ছে করলে শাস্তিদান করতে পারে। সকলেই চুপ করে গেল। বিচারক পাথরকে জিজ্ঞেস করলেন, 'তোমার নাম এবং বাবার নাম কী? বয়স কত?"
*তুমি কি বালকের টাকাটা চুরি করেছো?? পাথর চুপ।
*টাকাগুলো কোথায় রেখেছো?” পাথরের কাছ থেকে কোন জবাব মেলে না। বিচারক পাথরের কোনো উত্তর না পেয়ে পাথরকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করলেন, *পাথরটি বালকের টাকা চুরি করার জন্য অপরাধী। তাকে ত্রিশ ঘা বেত মেরে হত্যা করা হোক!"রায় শুনে উপস্থিত সকলে হাসি চাপতে চেষ্টা করে। কিন্তু কিছুতেই চেপে রাখতে পারে না। আদালত কক্ষের মধ্যে খুক খুক, হি হি, হাঃ হাঃ শব্দ গম গম করতে থাকে। এবার বিচারক জোরে জোরে হাতুড়ি পিটিয়ে সবাইকে চুপ করে থাকতে আদেশ দিলেন। “রায়ের আর একটা অংশ আছে, বলে তিনি ঘোষণা দিলেন "আদালতের বিচার কাজে বাধা দেওয়া এবং আদালতকে সঠিক সম্মান না জানানোর জন্য সবাইকে পাঁচ টাকা করে জরিমানা করা হল।'
ঘোষণা শুনে উপস্থিত সকলেই হতবাক। কিন্তু, আদালতের রায় তো হেরফের হবার নয়। সবাই মানতে বাধ্য। একে একে সকলেই গুনে গুনে পেয়াদার হাতে জরিমানার টাকা দিয়ে তবে রেহাই পেল। বিচারক বিজুকে ডেকে বললেন, “খোকা, এই টাকাগুলো তুমি রাখ। তোমার যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করার জন্য শহরের পক্ষ থেকে তোমাকে এই অর্থ দেওয়া হল। আশা করি এ অর্থ দিয়ে তুমি শহর ঘুরে দেখতে পারবে।” জরিমানার টাকা দেওয়ার পর সকলের রাগ গিয়ে পড়ল পাথরের ওপর। সকলে মিলে পাথরটিকে ধরাধরি করে শহরের বাইরে নিয়ে গেল। যে যেমন করে পারে পাথরটাকে আচ্ছা করে দিল মার। তারপর ঠিক হল হত্যা করা হবে। সবাই মিলে পরামর্শ করতে বসল, কীভাবে এটাকে হত্যা করা হবে। অনেক কথাবার্তা হল, পরামর্শ হল, কিন্তু পাথর হত্যা করার কোনো উপায় বের করা গেল না। সকলে বিরক্ত হয়ে পাথরটিকে পথের ধারে ফেলে দিয়ে যে যার মতো বাড়ি ফিরে গেল।
কুঁড়ো খাওয়া রাজা | King's Bengali story Bangla 2024
কুঁড়ো খাওয়া রাজা
বটগাছের জন্মকথা | The story of the banyan tree Bangla 2024
বটগাছের জন্মকথা
The story of the banyan tree
Wondershare Filmora 13 Latest Download PC Without Watermark 2024
Filmora 13 is the latest iteration of Wondershare's renowned video editing software, setting a new standard in the industry with its blend of simplicity and advanced features. Designed for both beginners and experienced editors, Filmora 13 offers a seamless editing experience with its intuitive interface and powerful tools.
Download Now
One of the standout features of Filmora 13 is its integration of AI-powered tools for automated editing. This includes features like Smart Trim, which intelligently identifies and removes unwanted footage, and Auto Reframe, which automatically adjusts the aspect ratio to fit different social media platforms. These AI-driven capabilities streamline the editing process, saving users time and effort while maintaining professional results.
In addition to automated editing, Filmora 13 also introduces advanced color grading options. Users have access to a wide range of presets and customizable controls, allowing them to achieve the perfect look for their videos. Whether they're aiming for a cinematic feel or a vibrant aesthetic, Filmora 13 provides the tools to make it happen.
Audio editing capabilities have also been enhanced in Filmora 13. Users can now easily remove background noise, adjust volume levels, and apply audio effects to enhance their soundtracks. This makes it easier than ever to create videos with high-quality audio that captivates audiences.
Another notable addition to Filmora 13 is improved motion tracking. Users can now easily track moving objects in their videos and apply effects or text that follow the motion. This opens up a whole new world of creative possibilities, allowing users to add dynamic elements to their videos with ease.
Whether creating vlogs, cinematic masterpieces, or social media content, Filmora 13 empowers users to bring their vision to life. With its intuitive interface, powerful features, and AI-driven tools, it's never been easier to create professional-quality videos. From beginners looking to dip their toes into video editing to experienced editors seeking advanced capabilities, Filmora 13 has something for everyone.
জ্যোৎস্নারাতের ভূত | Ghost of Jyotsnarat Bangla golpo
জ্যোৎস্নারাতের ভূত
ওই না দেখে আমার মাথা বন বন করে ঘুরতে লাগল। আমি মামাকে জাপটে ধরে রেখেছি। মামারও দেখি আমার মতো দশা। এরই মধ্যে দাদা ছুটে গিয়ে ভূতের কাছে হাজির। প্রথম লাঠি দিয়ে একে একে দুটো হাতই ভেঙে দেয়। এরপর পায়ে জোরে জোরে বাড়ি মারলে ভূতটা নুয়ে পড়ে। দাদা তখন চিৎকার করে আমাদের ডাকছে।' তোমরা এখানে এস। দ্যাখ, ভূতটা মেরে ফেলেছি।
আমি জানি ভূত কখনও মরে না। তাই মামার হাত ধরে ধরে ভয়ে ভয়ে এগোই। গিয়ে দেখি একটা কলাগাছ। সেই ভূত। আমার আর মামার যেন প্রাণ ফিরে এলো। মামাও হাসে, আমিও হাসি। হাসতে হাসতে আমাদের পেটে খিল ধরে যায়। দাদা বলল, 'ভূত দেখা এবং মারা সবই হল। এখন চল। নানাভাই আমাদের জন্য বসে আছেন।' ভোর হয় হয়। এমন সময় আমরা পৌঁছে গেলাম। দৌড়ে নানাভাইয়ের কোলে বসে বললাম, 'আমার জন্য তোমার মনটা কাঁদছিল?'
'হ্যাঁরে। তোকে না দেখলে আমার কিচ্ছু ভালো লাগে না।' 'জানো নানা, আজ না আমরা ভূতের পাল্লায় পড়েছিলাম। দাদা না থাকলে আমাকে আর মামাকে তো তোমরা খুঁজেই পেতে না।' এ কথা শুনে নানাভাই তো হেসেই খুন। বললেন, 'ওটা তোদের চোখের ভুল।' এদিকে সব শুনে নানি তো মহা ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। ছুটে গিয়ে পানি পড়া নিয়ে এলেন। বললেন, 'ওদের তিনজনকে পানি পড়া খাইয়ে দিই। কী ভীষণ ব্যাপার, ভূতে যখন ধরেছে তখন এত সহজে ছাড়বে না। আবার সুযোগ পেলেই ধরবে।' আমি বলি, নানি, আগে শোন না।' একে একে সব কথা খুলে বললাম। নানি যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন। 'যাক বাঁচা গেল। এ যাত্রায় তোরা আসল ভূতের পাল্লায় পড়িসনি। তবে পড়তে কতক্ষণ? নে, একটু একটু করে পানি পড়া খেয়ে নে।'
নানাভাই তখন নানিকে উদ্দেশ্য করে বললেন, 'শোনো, তোমার ওই জিনিস আর খাওয়ার দরকার নেই। এবারে ওদের ভুল ভেঙেছে। পৃথিবীতে ভূতটুত বলে কিচ্ছু নেই। আসলে ভূত হল আমাদের চোখের ও মনের ভুল।' নানি মুখ ঝামটা দিয়ে পড়া পানির বোতলটা হাতে করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন,।
The story of the tiger's power and Buddhi Cultivator
বাঘের দাপট আর বুদ্ধি চাষীর গল্প
খুকুর সাধ | The dog is sad Bangla Golpo 2024
খুকুর সাধ